‘আরে সাংবাদিকরা তো পত্রিকায় কত কথাই লিখে। তাদের লিখার কাজ তারা লিখুক। ওইসব দেখার সময় আমাদের নাই। সাংবাদিকরা পত্রিকায় লিখলেই কি আমাদের ভিজিট বন্ধ হয়ে যাবে? হাসপাতালের ডাক্তারদের প্রয়োজনেই আমাদের ভিজিট করার সুযোগ করে দিবে। আমাদের ভিজিট করতে না দিলে ডাক্তাররাই না খেয়ে মরবে’।
সোমবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকদের সাথে সাক্ষাত শেষে তার সহকর্মীদের সাথে দাম্ভিকতার সাথে কথাগুলো বলছিলেন মাজহারুল ইসলাম নামের এক ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধি।
গত জুন মাসে ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ব! শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই-তিন দিন ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশ বন্ধ করে দেন। কিন্তু কয়েকদিন পরেই আবার আগের রূপ নেয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। সংবাদ প্রকাশের দুই সপ্তাহ পর ফলোআপ সংবাদের জন্য সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে পূর্বের মতই ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ব লক্ষ করা যায়।
এদিকে সরেজমিন পরিদর্শনে এসব ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের দাম্ভিকতার কারণ হিসেবে জানা যায়, হাসপাতালে নিয়োজিত ডাক্তারগণ তাদের নির্দেশমত ব্যবস্থাপত্রে ঔষধের নাম লিখে একটা মোটা অংকের টাকা পেয়ে থাকেন। যে কারণে তারা রোগীদের চেয়ে ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের প্রাধান্য দিয়ে থাকেন বেশী।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান আকন্দ জানান, ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা সপ্তাহে শুধুমাত্র দুইদিন (রবি ও বুধবার) দুপুর ১২টার পর হাসপাতাল ভিজিট করে থাকে। যদি নির্দিষ্ট বার ছাড়া হাসপাতালে তারা আসে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।